Procrastination এর কাছাকাছি বাংলা সম্ভবত ঢিলেমি বা গড়িমসি করা। যথাযথ শব্দ যাই হোক না কেন, সম্ভবত আমরা সবাই কমবেশি এই রোগে আক্রান্ত। কীভাবে ঢিলেমি করা বন্ধ করা যায় এবং জীবনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করা যায় সেটা জানা যাক।
|
সাদামাটা দৃষ্টিতে আমাদের জীবনের কাজগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়:
১. কম গুরুত্বপূর্ণ রুটিন কাজ (বাজার করা, কাপড় ধোয়া, ইমেইলের জবাব দেয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ছোট এবং বোরিং)
২. গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘমেয়াদি কাজ (পড়াশুনা করা, লেখালেখি, কোডিং, ব্যায়াম করা, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি। এসব কাজ সাধারণত বড় ও ভীতিকর মনে হয়।)
|
এই দুই ধরণের কাজেই গড়িমসি খারাপ, তবে দ্বিতীয় ধরণের কাজ আমাদের জীবনের অর্জন-উপার্জনের সাথে জড়িত। তাই এখানে ঢিলেমি কারণে আমাদের ব্যক্তিগত উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয় হরহামেশাই।
|
ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট সাহিল ব্লুম এধরনের গড়িমসির মানসিকতা ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য ৫ ধাপের একটা ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব করেছেন।
|
- সমস্যার স্বীকারোক্তি
- কাজের ব্যবচ্ছেদ
- পরিকল্পনা
- জবাবদিহিতা
- কাজে পরিণত করা
|
সমস্যার স্বীকারোক্তি:
আর যেকোন সমস্যার মতোই গড়িমসি করা যে একটা সমস্যা এটা প্রথমেই স্বীকার করে নিতে হবে। গ্রিক দার্শনিক একরাসিয়া বলতেন, গড়িমসি করা হলো নিজের বিচারবুদ্ধির বিপরীতে কাজ করা।
যারা ঢিমেতালে চলে, তারা কাজ করতে চায় না এমন না। তারা তাদের আজকের কাজকে তার ভবিষ্যতের সত্ত্বার জন্য রেখে দেয়। সাহিল ব্লুম জানাচ্ছেন এই ঢিলেমি করা আমাদের মজ্জাগত, যেন আমাদের ডিএনএতে লিখে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাদের জানিয়েছেন, শয়তান আমাদের রক্তের শিরায় চলাচল করে।
তো দেখা যাচ্ছে, আমরাই আমাদের অন্তরঙ্গ শত্রু। আজকের আরামের জন্য আগামীকালের পুরষ্কার পায়ে ঠেলছি। এথেকে বের হতে দরকার পরিকল্পিত পদক্ষেপ।
নিজেকে প্রশ্ন করতে হবেঃ
১. দীর্ঘমেয়াদে নিজের জন্য ভাল হয় এমন কাজ করছি না, আল্লাহ'র কাছে সময়ক্ষেপনের জন্য জবাব দেয়ার উপায় কি আছে?
২. যা করছি সেটাই কি চালিয়ে যাওয়া উচিত?
যদি উত্তর "না" সূচক হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত আপনার সমস্যা নিয়ে সচেতন।
|
কাজের ব্যবচ্ছেদঃ
আমাদের ব্রেইন বড় কাজ/লক্ষ্যকে ভয় পায়। মস্তিষ্ক আরাম চায়, এজন্য হাজারো যুক্তি দাড় করিয়ে আসল কাজে ফাঁকি দেয়। মূলত বড় লক্ষ্য, বিশাল প্রজেক্ট এগুলো তার কাছে ধোঁয়াশার মতো লাগে।
তাই সহজ করতে কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন। নিজেকে বুঝান "এই তো মাত্র কয়েকটা কাজ, এরপরই আজকের মতো কাজ শেষ।
বিল গেটসের Eat the frog থিওরি এরকমঃ
|
পরিকল্পনাঃ
এই ধাপে আপনার কাজ হলো
১. খুব সুনির্দিষ্টভাবে কী কাজ করবেন সেটা লিখে ফেলা
২. সেই কাজের জন্য সময় ঠিক করা
আমরা ধরে নেই দিনে অনেক কাজ করে বাজিমাত করে ফেলবো, বাস্তবে সেটা হয় না। তাই রয়েসয়ে কাজের পরিকল্পনা করুন। দরকার হলে Trello'র মতো প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট টুলস ব্যবহার করুন।
|
জবাবদিহিতা সৃষ্টিঃ
জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করা গেলে কাজ শেষ করা সহজ। এটা কয়েকভাবে করা সম্ভবঃ
১. আপনার লক্ষ্য সবার সামনে ঘোষণা করুন। এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় করতে পারেন, বা কাছের একাধিক বন্ধুকে মেইল করে করতে পারেন। এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়ও করতে পারেন।
২. কোন একটা কাজ একজন বন্ধু/শুভাকাঙ্খীর সাথে করুন। এটাও একধরনের সামাজিক চাপ।
৩. কাজ শেষ হলে নিজেকে পুরষ্কার দিন
৪. আর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হলে নিজের জন্য শাস্তি/জরিমান ধার্য্য করুন।
এভাবে ভাবুনঃ আপনি আল্লাহ'র সৃষ্ট সেরা সৃষ্টি, পতিত শয়তানের প্ররোচণার কাছে হেরে যাবেন? কখনোই না।
|
কাজে পরিণত করাঃ
এটা সবচেয়ে কঠিন ধাপ এবং আরামের সীমানা থেকে বের হয়ে কাজ শুরু করাটাই কঠিন
|
১. কাজ শুরুর মুহুর্তে কোন বন্ধু/পরিবারের সদস্য/কলিগকে ডাক দিন। একসাথে কাজ শুরু করুন।
২. মাত্র ২০ মিনিটের জন্য কাজ করুন। তারপর বিশ্রান নিন। (এভাবে ছোট ছোট সময় ধরে কাজ করাকে Sprint বলে)
৩. প্রথম স্প্রিন্টের পর বিশ্রামের সময় ভাবুন কি করলেন, এবং আসলেই এটা অনেক কঠিন ছিল কি না।
৪. বিশ্রাম শেষে আবার একটা স্প্রিন্ট শুরু করুন।
|
আমরা যদি চাই আমাদের বাচ্চারা কর্মঠ হবে, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করবে, তাহলে প্রথমে আমাদের জীবনে সেটা করে দেখাতে হবে। বাচ্চারা মূলত আমাদের আয়না!
|
আমাদের প্রিনাটাল ২য় ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
মূলত এটা গর্ভবতী মা ও গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন এমন নারীদের জন্য ক্লাস।কোর্সে শেষে যেসব প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে পারবেন সেগুলো এরকমঃ
📌 গর্ভাবস্থায় নিজের যত্ন যেভাবে নেবেন
📌 এসময় কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন
📌 অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যে আপনার কেমন পুষ্টি দরকার
📌 পরো প্রেগন্যান্সীতে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন আসবে
📌 প্রেগন্যান্সীতে হরমোনের ভূমিকা কী
📌 বার্থ প্ল্যান কীভাবে করবেন
📌 প্রসব বেদনার ধাপগুলোর বিস্তারিত
📌 লেবার ও সন্তান জন্মদানে আপনার প্রত্যাশা কেমন হবে
📌 লেবারের প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন
📌 বার্থিং পজিশন কী এবং নরমাল ডেলিভারিতে এর ভূমিকা
📌 প্রেগন্যান্সীর সময়ে বিপদসংকেতগুলো কি কি
📌 কখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হবেন
📌 কীভাবে মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ কমানো যায়
📌 পোষ্টপার্টাম মানসিক অবস্থা কেমন থাকে, কীভাবে ম্যানেজ করবেন
📌 কীভাবে প্রসবের পর নিজের যত্ন নেবেন
📌 নতুন ও অভিজ্ঞ মায়েদের জন্য ব্রেষ্টফিডিং এর বিস্তারিত
📌 সদ্যোজাত বাবুর যত্নআত্তির আদ্যোপান্ত
কোর্স সম্পর্কে যেকোন প্রশ্নের জন্য মাতৃত্ব ফেসবুক পেইজে মেসেজ দিন। বিনিয়োগঃ ১৮০০টাকা, বর্তমানে Early bird ডিসকাউন্টে ১৫০০টাকা
|
- বাংলাদেশে প্রিনাটাল ক্লাসের ধারণা নতুন, তাই একে জনপ্রিয় করতে আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় লিখছি। দ্যা ডেইলি স্টার + সমকাল এ আমাদের লেখা পড়তে পারেন।
- প্রিনাটাল ক্লাস কেন করবেন সেটা নিয়ে ইসরাত ও আফিফা বিস্তারিত লিখেছেন এখানে। সারকথাঃ একজন সন্তান সম্ভবা মা'কে তার জীবনের সম্পূর্ণ নতুন একটা জার্নিতে কনফিডেন্ট বানাতে এই ক্লাস। Highly recommended!
- যদি এই মেইলের মতো নিউজলেটার পাঠাতে চান, বা ইমেইল মার্কেটিং করতে চান তাহলে প্রবাহ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তাদের ফ্রি প্যাকেজে প্রতি মাসে ৫০০০ মেইল পাঠাতে পারবেন।
|
মূলত যারা ফেসবুকে সক্রিয় নন, তাদের জন্য আমাদের নিউজলেটারের আয়োজন। আর ফেসবুকের বাইরে টেলিগ্রামে আমাদের গ্রুপ ও চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন।
|
মাতৃত্ব পরিবারের একজন হিসেবে আপনি এই মেইল পাচ্ছেন। আগের নিউজলেটারগুলো এখানে পড়তে পারেন।
মাতৃত্ব ডট কম
বাসা:১/বি, ভবন: ৭, স্বপ্নডাঙ্গা হাউজিং হাজারিবাগ, ঢাকা-১২০৭
https://matritto.com
ইমেইল পাওয়া বন্ধ করতে চান? আনসাবস্ক্রাইব
|
|